কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪ ১৩:৪৬ ।
দেশের খবর
পঠিত হয়েছে বার।

বান্দরবানে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় ডাকাতি, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র-গুলি লুটসহ ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণ মামলায় কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি এর অন্যতম সদস্য এবং সদরস্থ ফারুক পাড়ার কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল' এন্ড মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।


গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চলতি মাসে বুধবার (৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় দিকে সদর থানাধীন ফারুকপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত সানজু খুম বম (৩৮) সুয়ালক ইউনিয়নের ফারুক পাড়া ৬নং ওয়ার্ডে মুন হেয় বমের ছেলে।

র‍্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে সক্রিয় একটি নিষিদ্ধ জাতিগত সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি পার্বত্য এলাকায় বিশেষ করে বান্দরবান জেলায় হত্যা, লুটপাট, অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি’সহ একাধিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমানে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কাছে একটি আতংকের নাম এই কুকি-চিন।

র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত সানজু খুম বম এনএফের অন্যতম সদস্য এবং বান্দরবান সদর উপজেলার ফারুক পাড়া কেএনএফ সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সে রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। এছাড়াও কেএনএফ এর সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের পাশাপাশি খাবার এবং প্রায়শই কেএনএফ এর রসিদ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ছিল।

গ্রেফতারকৃত সানজু খুম বম এর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে বান্দরবান সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল। পরবর্তীতে তাকে রুমা ব্যাংক ডাকাতির মামলার ঘটনায় আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

প্রসঙ্গত রুমা ও থানচি দুই উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত ২২জন নারীসহ ৮৫ জনকে ৯টি মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৫৬ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।