কবিগুরু স্বপ্ন দেখেছেন সোনার বাংলার, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছেন- এসপি সুদীপ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪ ২১:০৩ ।
বগুড়ার খবর
পঠিত হয়েছে ১০ বার।

"সোনার বাংলা স্বপ্ন ও বাস্তবতা : রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু" প্রতিপাদ্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদাৎ আলম ঝুনুর সভাপতিত্বে অত্র প্রতিষ্ঠান অডিটোরিয়াম আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম পিপিএম। অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক সাজাহান সাকিদার ও সরকারি  মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. বেলাল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়া সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার কাওছার শিকদার, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, আব্দুর রশিদ ও মোতাহার হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, রবীন্দ্রনাথ নাথ ঠাকুর স্বপ্নে একটি সোনার বাংলা দেখেছিলেন, আর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জাতীয় জীবনে অনেক বড় অবদান রেখেছেন। তার অবদান শুধু সাহিত্যে বিস্তৃত নয়। তার অবদান রয়েছে কৃষিতে, সমবায় সহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে যা আমাদের সমাজ গঠনে অপরিহার্য। সোনার বাংলাকে স্বাধীন বাংলা হিসেবে গড়তে হবে তার ধারণা এসছে রবীন্দ্রনাথ থেকে। আমাদের জাতীয় সংগীতে সোনার বাংলা গড়ার কথা কবিগুরু বলেছেন। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে কখনও সাহিত্য ভাবা যায় না। কাজী নজরুল যখন ব্রিটিশদের কারাগারে বন্দী ছিলেন তখন তাকে বসন্ত নাটক উৎসর্গ করেছিলেন কবিগুরু। সমাজ জীবনের প্রতিটি অংশে রয়েছেন তিনি। তিনি তার লেখনিতে সমাজের সকল অমানিশা, মন্দের শেষে আলোকিত দিন শুরু হয় তার বন্দনা করে গেছেন। তাই আমাদের সকল শিক্ষার্থীকে রবীন্দ্রনাথকে জানতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা। অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী আগুনের পরশমণি গানের মধ্যেদিয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা করেন। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে কবিতা আবৃত্তি, গান, নৃত্য ও নাটক পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠান শেষে নাটক, গান, নৃত্য, যন্ত্র সংগীতে শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা স্মারক শিক্ষার্থীদের অর্পন করেন প্রধান অতিথি।