বগুড়ায় গত বছরের তুলনায় খামারী ও কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪ ১২:২৮ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ২২ বার।

বগুড়ায় গত বছরের তুলনায় খামারী ও কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে জেলায় চাহিদা মিটিয়েও অন্য জেলার চাহিদাতে যুক্ত হতে পারে এসব পশু। এখন খামারীরা লাভের আশায় দিন গুনছে।  

বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানা গেছে, গত বছর বগুড়ায় ৪৪ হাজার ৩২৯জন খামারী ছিলেন। এ বছর সেটি বেড়ে ৪৮ হাজার ৪৫৩জনে দাঁড়িয়েছে।   এদের ৯৫ শতাংশই প্রান্তিক পর্যায়ের। জেলায় এবার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৫টি। যা গত বছরের তুলনায় ৮ হাজার বেশি। কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে গরু ২ লাখ ৭০ হাজার ৪১ টি, ছাগল ৪ লাখ ২২ হাজার ৬৫৭টি, ভেড়া ও গারল ৩৯ হাজার ৮৫১টি এবং মহিষ ২ হাজার ২৬৬টি। এসব পশু এবার বগুড়া জেলায় চাহিদা পূরণ করেও ২৯ হাজার ১৫৫টি উদ্বৃত্ত থাকবে। 

বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকার আরাফাত ইসলাম নামে এক খামারী বলেন, 'আমি এক বছর বয়সী বাছুর কিনে এনেছিলাম। এখন গরুর বয়স সাড়ে তিন বছর। মোটামুটি গরুর ওজন প্রায় ২০ মণ। আশা করছি এবার ভালো দাম পাবো। 

একই এলাকার স্বপন প্রামানিক নামে আরেক ক্ষুদ্র খামারী বলেন, 'প্রতি বছর আমি ঈদ উপলক্ষ্যে গরু পালন করে থাকি। গত বছর ভালই দাম পেয়েছিলাম। এবারও প্রত্যাশা করছি ভালো দাম পাবো। যদি দাম সেভাবে না পাই তাহলে গরু পালনের সংখ্যা কমিয়ে দিতে হবে।'

বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোছাঃ নাছরীন পারভীন জানান, বগুড়ায় এ বছর খামারীর সাথে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেড়েছে। জেলায় এবার সবার চাহিদা মিটিয়েও প্রায় ৩০ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।এছাড়া  আমরা খামারীদের এই গরমে পশুদের হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচাতে সব ধরণের পরামর্শ প্রদান করছি। এর পাশাপাশি গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিদের দানাদার খাবারের ওপর চাপ কমিয়ে ঘাস উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করছি।