কাহালুতে ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে উপসহকারী প্রকৌশলীর মামলা

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৪ ।
প্রধান খবর
পঠিত হয়েছে ৩৮ বার।

বগুড়ার কাহালু পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এখলাস হোসেনকে লাঞ্চিত ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ এনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাহালু দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আঃ রশিদ লালুর বড় ছেলে মাসুম রব্বানীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।  শনিবার বিকেলে ভিকটিম এখলাস হোসেন নিজেই বাদী হয়ে কাহালু থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।  

মামলার বিবরণে বলা হয় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে  কাহালু পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড তালেব হাজ্বির চাতাল থেকে কাহালু চারমাথা পর্যন্ত নতুন ড্রেন নির্মাণের পূর্বে লে-আউট দেওয়ার জন্য উলট্ট পশ্চিমপাড়া মহল্লাস্থ কাহালু পোস্ট অফিসের সামনে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন। এই কাজ চলাকালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ লালুর ছেলে মাসুম রব্বানী ওরফে মাসুম ও অজ্ঞাতনামা ১জন সহযোগী মোটরসাইকেল নিয়ে স্কেভেটর মেশিনের সামনে এসে সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান করেন।

      আসামীর বাড়ীর সামনে উক্ত ড্রেন নির্মাণের জন্য কেন? লে আউট প্রদান করা হলো, সেই ক্ষোভে মাসুম স্কেভেটর মেশিনের চালক আবু হুরাইরাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং চড় থাপ্পর মারে। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য ভিকটিম  মাসুমকে ডাক দিলে পরিচয় জানার পরেও  একলাসের উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে তার স্বজোরে কিলঘুষি মারে। এরপর হুমকি দেয় ভবিষ্যতে এখানে ড্রেনের কাজ বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে  প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এব্যাপারে মোবাইল ফোনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ লালুর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমার ছেলের বাড়ির সীমানার অংশ পর্যন্ত মাটিকাটার সময় স্কেভেটর মেশিন সরিয়ে নেওয়ার জন্য নিষেধ করলে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। উপসহকারী প্রকৌশলীকে লাঞ্চিত করার ঘটনা সত্য নয়। 

 

          কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সেলিম রেজা মামলাটির বিষয় নিশ্চিত করে বলেছেন আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং অজ্ঞাত আসামীকে সনাক্তের ব্যপারেও কাজ করা হচ্ছে।