নিজেদের জামা-কাপড়ের টাকা দিয়ে ঈদের খুশী ভাগাভাগি করে নিলো তরুণ-তরুণীদের সংগঠন নব্যদীপ্তি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১১ মে ২০২১ ১১:০৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮০ বার।

করোনা সংকটকালে বগুড়ায় নিজেদের জামা-কাপড়ের টাকা দিয়ে শতাধিক পরিবার এবং প্রবীনদের সাথে ঈদের খুশী ভাগাভাগি করে নিলো তরুণ-তরুণীদের সংগঠন নব্যদীপ্তি। দেশে করোনা মহামারীতে ভেঙ্গে পড়া কিছু অসহায় পরিবার এবং বৃদ্ধাশ্রমে প্রবীনদের পাশে দাড়াতে পেরে যেন নিজেদের জীবনের শ্রেষ্ঠ ঈদ মনে করছেন সংগঠনটির কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা। 

খুশিতে আত্নহারা এইসব প্রবীণ এবং অসহায় পরিবারের কারণ নব্যদীপ্তি। শুদ্ধ চিন্তায় তারুণ্য স্লোগানে সংগঠনটির নব্যদীপ্তি শব্দের অর্থ নতুনের আলো। যা জেলা এবং দেশ সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সংগঠিত। সংগঠনটি প্রতিনিয়ত তাদের লিখার মাধ্যমে একটি ওয়েসাইটের মাধ্যমে তাদের শুদ্ধ চিন্তা চেতনাকে প্রকাশ করে। আর তারই ধারাবাহিকতায় এবছর করোনা সংকটে নিজেদের জামা-কাপড়ের টাকা থেকে সমাজে ভেঙ্গে পড়া শতাধিক অসহায় পরিবার এবং প্রবীণদের সাথে ঈদের খুশী ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তারা।

এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে নিজেদের জীবনের শ্রেষ্ঠ ঈদ মনে করছেন সংগঠনটির সদস্যরা। 

 

এ বিষয়ে নব্যদীপ্তি'র একজন অন্যতম সদস্য সরকারি আজিজুল হক কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষে পড়ুয়া শিক্ষার্থী জাকি তাজওয়ার সমুদ্র বলেন,  আমরা আমাদের ঈদের জামাকাপড় কেনার টাকা দিয়ে সমাজের গরীব দুঃখীদের জন্য  সামান্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই তাদের সবাই ঈদের আনন্দ যেন সবাই ভাগাভাগি করে নেয়।

 

এ বিষয়ে নব্যদীপ্তি সংগঠনের আরেক অন্যতম সদস্য আনিকা গহর অনন্যা বলেন, প্রতি বছর আমরা নিজেরা বিভিন্ন কাপড় কিনি তবে এবছর আমরা সবাই নিজেরা মিলে উদ্দ্যোগ নেই জামা কাপড়ের টাকা থেকে কিছু অংশ দিয়ে আমরা অসহায় পরিবার এবং প্রবীণদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবো আর সেখান থেকেই আমাদের এই কাজ সম্পন্ন করা।

 

জেলায় ছেলে-মেয়েদের কোনরুপ চাঁদা না তুলে এমন কার্যক্রমে পর্যায়ক্রমে উপস্থিত থেকে দৃষ্টান্ত উদাহারন হিসেবে মনে করছেন জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য রুমানা আজিজ রিংকি জানান, স্কুল কলেজে পড়া ছেলেমেয়েদের মাঝে মানবিক চিন্তা ধারার যে বহিঃপ্রকাশ দেখতে পেয়েছি তা অত্যন্ত প্রশংসনিয়। আমি এমন মহতি উদ্যোগে তাদের সাথে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

 

সংগঠনটির এমন শুদ্ধ চিন্তার মানবিক উদ্যোগের সাথে অংশগ্রহন করতে পেরে অত্যন্ত খুশী বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন,ছেলে-মেয়েদের এই উদ্যোগ অন্ত্যন্ত প্রংশনীয় যা প্রতি বছর ধরে রাখা উচিত। তাদের জন্য শুভ কামনা রইবে। 

উপহার হিসেবে সংগঠনটির উক্ত কার্যক্রমে ৫৮টি পরিবারের জন্য বাজারের ব্যাগে ছিল পোলাও এর চাউল,মুরগি,লাচ্ছা,সেমাই,চিনি,সয়াবিন তেল,কনডেন্স মিল্ক, এবং যাবতীয় মসলা এবং  ৪৫ জন প্রবীনদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরন।