আসছে বাঁশের ব্যাট, সুবিধা পাবেন ব্যাটসম্যানরা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মে ২০২১ ০৬:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৩ বার।

নতুন ধরনের ব্যাট আবিষ্কার করেছেন ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। বাঁশের তৈরি এই ব্যাট, উইলো কাঠের ব্যাটের তুলনায় টেকসই, সহজলভ্য ও ২২ শতাংশ বেশি মজবুত।

গবেষকরা বলছেন, এ ব্যাট বদলে দিতে পারে ক্রিকেট খেলাকে। কিছুটা ভারী হলেও পেশাদার ক্রিকেটাররা স্বাগত জানিয়েছেন প্রোটোটাইপ এ ব্যাটকে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে ক্রিকেটের আইন প্রণেতা এমসিসির ওপর। তারা অনুমতি দিলেই এ ব্যাট দিয়ে খেলতে পারবেন ক্রিকেটাররা।    

প্রায় চারশ’ বছর পুরনো খেলা ক্রিকেট। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে এ খেলাতেও। বেড়েছে জনপ্রিয়তা, সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার। সময়ের সঙ্গে অবধারিতভাবে পরিবর্তন হয় অনেক কিছু। পরিবর্তন এসেছে ক্রিকেট খেলার প্রধান অনুষঙ্গ ব্যাটেও। বর্তমানে উইলো কাঠের ব্যাট দিয়ে খেলে থাকেন ব্যাটাররা। তবে পরিবর্তন আসছে এখানেও। 

ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক বেন টিঙ্কলার ডেভিস ও ড. দারশিল শাহ উদ্ভাবন করেছেন বাঁশের তৈরি ব্যাট। তাদের দাবি, ল্যামিনেটেড বাঁশের এ ব্যাট কাঠের ব্যাটের তুলনায় শুধু সহজলভ্যই না, ২২ শতাংশ মজবুত। ফলে ব্যাটে বল লাগার পর বেড়ে যায় এর গতি। 

বাঁশের ছোট ছোট স্ট্রিপস একত্র করে কাঠের ব্যাটের মতই আকৃতি দেওয়া হয় এই ব্যাটের। এ ব্যাট ব্যবহার করলে ব্যাটসম্যানরা আরও সুবিধা পাবেন, দাবি এর সহ উদ্ভাবকের।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বেন টিঙ্কলার ডেভিস বলেন, একজন ব্যাটার তার সব শক্তি প্রয়োগ করে বল মারতে চান। সে ক্ষেত্রে সবাই চাইবে তার ক্রিকেট ব্যাটটি মজবুত হোক। এ ব্যাট শক্ত বাঁশ দিয়ে তৈরি যা উইলো কাঠের ব্যাটের চেয়ে ভালো। সব ধরনের স্ট্রোকেই এই ব্যাট কাজে দেবে।

এরই মধ্যে পেশাদার ক্রিকেটারও পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন ব্যাটটি। কিছুটা ভারী হলেও ইতিবাচক মূল্যায়ন এই ব্যাটসম্যানের।

লিটল শেলফোর্ড ক্রিকেট ক্লাবের ওপেনার ওয়েন পাও জানান, ব্যাটটি বেশ আকর্ষণীয়। সাধারণ ব্যাটের তুলনায় এটা বেশ ভারী। এই ব্যাট দিয়ে দ্রুত বল মারা কঠিন হলেও, এটা দিয়ে স্ট্রোক খেলা সহজ।

গবেষকরা বলছেন, ব্যাটের ওজন তারা কমিয়ে আনতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। ক্রিকেট খেলার নিয়মকানুন প্রবর্তন করে মেরিলিবন ক্রিকেট ক্লাব। ব্যাটের গঠনও নির্ধারণ করে তারাই।  এমসিসির নিয়ম বলছে, কাঠের একটি টুকরো দিয়ে তৈরি করা হয় ব্যাট। যেখানে এটা তৈরি বাঁশ দিয়ে। তাই আদৌ এই ব্যাট অনুমোদন পাবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। যদিও সহ গবেষক ও সাবেক ক্রিকেটার ড. দারশিল শাহ বেশ আশাবাদী।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. দারশিল শাহ বলেন, এই ব্যাটটি বেশ টেকসই। গাছের তুলনায় বাঁশ দ্রুত ব্যবহার উপযোগী হয়। তবে এই ব্যাট ব্যবহারের জন্য এমসিসির অনুমতি প্রয়োজন। তবে আমরা চাই এই ব্যাট সবাই ব্যবহার করুক। আমরা শিগগিরিই ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনায় বসব।

ক্রিকেট মানেই চামড়ার বলের সাথে কাঠের শব্দ। বাঁশের ব্যাটের সাথে বলের যে শব্দ হবে, অনেকে হয়তো সেটাকে আর ক্রিকেট বলবে না।