উইজডেনের সেরা টেস্ট একাদশ, নেই কোন বাংলাদেশি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২১ ০৪:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৭ বার।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এখন শেষের পথে। ম্যাচ বাকি আর একটা। জুনে ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারের রোজ বোলে অনুষ্ঠিত হবে সেই বহুল কাঙ্খিত ফাইনাল ম্যাচ। যেখানে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।

 

শুরুতে ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে ফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও, করোনার ধাক্কায় স্থগিত হয়ে যায় সে সুযোগ। পরে বায়ো বাবলের স্বার্থে নতুন ভেন্যু নির্ধারণ করে আইসিসি।

ফাইনাল এখনো বাকি থাকলেও, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা একাদশ নির্বাচনে পিছিয়ে নেই ক্রিকেটের বাইবেল উইজডেন। দুই বছর ব্যাপী চলতি এ আসরে খেলা ক্রিকেটারদের নিয়ে সাজানো হয়েছে একাদশটি।

 

যেখানে চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ফাইনালিস্ট ভারত থেকে তিনজন এবং নিউজিল্যান্ড থেকে সুযোগ পেয়েছে ২ জন। অস্ট্রেলিয়া দল থেকে আছে তিনজন ক্রিকেটার, আর তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড থেকে আছে দুই জন। আর একজন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন শ্রীলঙ্কা থেকে। তবে, এ একাদশ ধাক্কা দেবে ভারতীয়দের। কারণ, এখানে যে জায়গা হয়নি বিশ্ব ক্রিকেটের এ মুহূর্তের সেরা তারকা ভিরাট কোহলির।

ওপেনিং এ উইজডেনের মতে, প্রথম জায়গাটি রোহিত শর্মার। ১১ ম্যাচে ৪টি সেঞ্চুরি এবং ২টু ফিফটিতে এক হাজার ত্রিশ রান করেছেন এ ভারতীয় ব্যাটার।

দ্বিতীয় জায়গাটিও একজন এশিয়ানের। শ্রীলঙ্কান টেস্ট অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ১০ ম্যাচে ৯৯৯ রান করেছেন তিনি। সমান ৪টি করে সেঞ্চুরি এবং হাফ-সেঞ্চুরি আছে করুনারত্নের দখলে। শেষ হওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন তিনি।

 

ওয়ানডাউনের মতো গুরুত্বপুর্ণ জায়গাটি গেছে একজন অস্ট্রেলিয়ানের দখলে। মার্নাস ল্যাবুশেন। এ সময়কালে ৫ টি সেঞ্চুরি আর ৯টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ১৩ ম্যাচে তার রান ১৬৭৫।

৪ নম্বরে আছেন আরেক অজি তারকা স্টিভেন স্মিথ। তিনিও ল্যাবুশেনের সমান ১৩ ম্যাচ খেলেছেন। তবে তার রান ১৩৪১। আর ৭টি ফিফটি করলেও, সেঞ্চুরি আছে সে তুলনায় মাত্র ৪টি।

৫ নম্বর জায়গাটি এ একাদশের অধিনায়কের জন্য রাখা। তিনি কেইন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন। ৯ ম্যাচে যার রান ৮১৭, সঙ্গে আছে ৩টি সেঞ্চুরি আর একটি ফিফটি।

৬ নম্বরে আছেন একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। আর এ মুহূর্তে ক্রিকেট বিশ্বে এ জায়গাটির জন্য একজনই আছেন যোগ্যতম। বেন স্টোকস। ১৭ ম্যাচে তার সংগ্রহে আছে ১৩৩৪ রান। ৪টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি বল হাতে ৩৪ উইকেট নিয়েছেন স্টোকস।

পরের জায়গাটি উইকেটরক্ষকের জন্য। এখানে উইজডেন সাময়ীকির মতে রিশাভ পান্তের কাছাকাছি নেই আর কেউ। ১১ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিতে ৬৬২ রান করেছেন পান্ত। ব্রিসবেনে তার ৮৯ রানের স্কোরটি এখানে জায়গা পেতে সাহায্য করেছে তাকে। কিপিং গ্লাভস হাতে পান্ত নিয়েছেন ৩৫টি ক্যাচ এবং করেছেন ৫টি স্টাম্পিং।

পরের ৪টি জায়গা বোলারদের জন্য। যেখানে তিন পেসারের সঙ্গে আছে একজন স্পিনার। পেসাররা হলেন ৬ ম্যাচে ৩৬ উইকেট নেয়া কাইল জেমিসন, ১৭ টেস্টে ৬৯ উইকেট দখল করা স্টুয়ার্ট ব্রড এবং ১৪ ম্যাচে ৭০ উইকেট নেয়া অজি সেনশেসন প্যাট কামিন্স।

দলটিতে একমাত্র প্রথাগত স্পিনার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১৩ ম্যাচে তার দখলে আছে ৬৭ উইকেট। এ জায়গাটিতে তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো নাথান লায়ন। অশ্বিনের তুলনায় উইকেট বেশি পেলেও, বিরুদ্ধ কন্ডিশনে ভালো বল করার পুরষ্কার পেয়েছেন রবিচন্দ্রন।