৩৬ বছর পর যমজ বোনকে পেল মলি!
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
একেবারে হুবহু যমজ। মলি সাইনার্ট আর এমিলি বুশনেলকে দেখে যে কেউই বলে দেবেন যে তারা যমজ বোন না হয়ে যান না! কিন্তু মলি আর এমিলি এই ব্যাপারটা টের পাননি তাদের জীবনের প্রায় ৩৬ বছর পর্যন্ত। কী ভাবে পেলেন, সেই নিয়েই আলোড়ন চলছে যুক্তরাষ্ট্রে।
সম্প্রতি এই দুই যমজ বোনের কাহিনি উঠে এসেছে ডেইলি মেইলে। জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় এই দুই যমজ বোনের জন্ম হয়েছিল। জন্মের পরেই মা মারা যান, বাবা ছিলেন না আগে থেকেই! ফলে, এই দুই বোনকে দত্তক নেয় দুই ইহুদি পরিবার। মলি চলে যান ফ্লোরিডায় আর এমিলি চলে আসেন পেনসিলভ্যানিয়ায়।
মলি এই প্রসঙ্গে ডেইলি মেইলকে জানায়, তার পরিবার তার সঙ্গে খুবই স্নেহময় আচরণ করত। বোঝার উপায় ছিল না যে তিনি একজন দত্তক নেওয়া সন্তান। কিন্তু মাঝে মাঝেই এই পরিবারের সব থেকে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা অনুভব করতেন মলি। তার মনে হত যে তিনি এই পরিবারের কেউ নন! বড় হওয়ার পরে তিনি জানতে পারেন সত্যটি।
এই কথাটা জানত মলির ৯ বছরের মেয়ে ইজাবেল। সে আসল পরিবারের খোঁজ বের করার জন্য মাকে অনেকবার ডিএনএ টেস্ট করানোর জন্য বলেছিল। কিন্তু মলি কখনই রাজি হননি। শেষে মাকে রাজি করাতে না পেরে ইজাবেল নিজেই ডিএনএ টেস্ট করায়।
ঘটনাক্রমে, ওই একই সময়ের মধ্যে নিজের পরিবারের খোঁজে ডিএনএ টেস্ট করিয়েছিলেন এমিলি। যখন ডাক্তার জানান যে ইজাবেল নামের এক বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে তার ডিএনএ এর ৪৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ মিল আছে, তখন চমকে যান এমিলি। তার কোনও দিন সন্তান হয়নি। তাই সেই মেয়ের পরিবারের খোঁজ নিয়ে মায়ের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করেন এমিলি।
এর পরেই দুই বোন জানতে পারেন পরস্পরের সম্পর্কে। পরস্পরের চেহারায় যে মিল আছে, তা তাদেরও বিস্মিত করে। আর তার ভিত্তিতেই দুই বোন দুনিয়াকে চমকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জানা গেছে যে তারা একসঙ্গে ৩৬ বছরের জন্মদিন পালন করেছেন, নাটকীয় ভাবে চমকে দিয়েছেন পরিবারের অন্য সদস্যদের!