ভারতে পালিয়েছে মিয়ানমারের ৩ পুলিশ সদস্য

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২১ ১৫:১৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭১ বার।

সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে প্রবেশ করেছেন মিয়ানমার থেকে ৩ পুলিশ সদস্য। তারা সেখানে আশ্রয়ের জন্য এসেছে বলা জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ভারতীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স বলছে ওই পুলিশ সদস্য মিয়ানমারের সামরিক সরকারের আদেশ মানতে নারাজ। এ কারণে তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।

মিজোরামের সেরচিপ জেলার পুলিশ সুপার স্টিফেন লালরিনাওমা রয়টার্সকে বলেছে, 'মিয়ানমার পুলিশের ওই ৩ সদস্য বলছে যে তারা সামরিক শাসন থেকে যে নির্দেশনা পেয়েছে সেগুলো তারা মানতে পারবে না, এ কারণেই তাই তারা পালিয়ে এসেছে।'

তিনি আরও জানান, ওই ৩ পুলিশ সদস্য বুধবার (৩ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকালে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করে।

এদিকে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের ভয়াবহ দিনে বুধবার মিয়ানমারে অন্তত ৩৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। এ অবস্থায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) জানান, জাতিসংঘ দিনটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী দিন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে নিরীহ আন্দোলনকারীদের ওপর জান্তা সরকারের বর্বরোচিত হামলায় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সংকট সমাধানে প্রতিবেশী দেশগুলোর আহ্বানের পরদিনই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের এমন আগ্রাসী আচরণ দেখল বিশ্ববাসী।

চারদিকে গুলির শব্দ। বৃষ্টির মতো গুলি থেকে নিজেদের বাঁচাতে শুরু হয় ছুটোছুটি। বুধবার (৩ মার্চ) জান্তাবিরোধীদের ওপর এভাবেই মুহুর্মুহু গুলি চালায় মিয়ানমার পুলিশ। রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এদিনও অব্যাহত আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইয়াঙ্গুন, ম্যান্দালেসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ। তাদের দমাতে চড়াও হয় মিয়ানমার সেনাদের মদদপুষ্ট পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইয়াংগুন।

ভয়াবহ দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক আন্দোলনকারীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে মিয়ানমারবাসী। বিকেলেই দাউয়েই শহরে মরদেহ নিয়ে দীর্ঘ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা।