বিরল গন্ধগোকুল জবাইয়ের চেষ্টা, ৯৯৯ ফোন দিয়ে উদ্ধার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২১ ১৪:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৫ বার।

কুড়িগ্রামে সদর উপজেলার তেপতির মোড়ে বিপন্ন প্রজাতির একটি গন্ধগোকুল আটকের পর গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। হাঁপানি রোগ সারতে এই প্রাণীর মাংস কাজে দেয় এমন ধারণা থেকে গন্ধগোকুলটিকে জবাই করার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় কয়েকজন। পরে  ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ এসে ওই প্রাণীটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।


বিপন্ন প্রজাতির ওই গন্ধগোকুল বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর থানা চত্বরে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা ওই প্রাণীটিকে বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করেন।

এ সময় বন বিভাগের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ফরেস্ট গার্ড নুর ইসলাম, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান, সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার প্রমুখ।

পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পশ্চিম কল্যাণ গ্রামের ধূলাউড়া চার তেপতির মোড় থেকে স্থানীয়রা মঙ্গলবার দুপুরে গন্ধগোকুলটিকে আটক করে। পরে সন্ধ্যায় ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ এসে বিপন্ন প্রাণীটিকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাণীটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মির্জা নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে তেপতির মোড়ে প্রাণীটিকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় রাখা হয়েছিল। হাঁপানি রোগ সারতে এই প্রাণীর মাংস কাজে দেয় এমন ধারণা থেকে গন্ধগোকুলটিকে জবাই করার সিদ্ধান্ত হলে আমি ৯৯৯ কল দিই। এর পর পুলিশ এসে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ওই এলাকার  ইউপি সদস্য আবু সাঈদ আজাদ জানান, প্রাণীটির যাতে ক্ষতি না হয় এ জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সেটি রক্ষা করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, ওই প্রাণীটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় পুলিশ সুপারের মাধ্যমে প্রাণীটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে (নং-১৪৩)।