অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে ক্লিনিক মালিক ও নার্স গ্রেফতার

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২১ ১৩:৫৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৫ বার।

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক নাবালিকাকে অন্তঃসত্ত্বা করে অবৈধ গর্ভপাত করার সহযোগিতা করায় একটি হাসপাতালের মালিক ও নার্সকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত হাসপাতালের মালিক মো. হাবিবুর রহমান ও নার্স মনোয়ারা বেগমকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বুধবার রাতে হাসপাতাল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মূল আসামি রনিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের এক কিশোরীকে (১২) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে মো. রনি মিয়া (১৯)। পর্যায়ক্রমে ধর্ষণের ফলে মেয়েটি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে যায়।

এ অবস্থায় রনি ও তার পরিবারের লোকজন গোপনে ওই কিশোরীকে ভুল বুঝিয়ে নবীনগর মুক্তি হাসপাতালে এনে অবৈধ গর্ভপাত করান। পরে ঘটনা জানতে পেরে ওই কিশোরীর পিতা পাঁচজনকে আসামি করে নবীনগর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। খবর যুগান্তর অনলাইন 

ওই কিশোরী পিতা পেশায় একজন জেলে। পেশার কারণে প্রায় রাতেই তিনি বাড়িতে থাকতেন না। ওই সুযোগে মো. রনি মিয়া ওই কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
 
গর্ভপাতের বিষয়ে মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মো. হাবিব বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অবৈধ কাজ করা হয় না। গর্ভপাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র করতে পারে বলে আমার ধারণা।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত করে হাসপাতালে অবৈধ গর্ভপাত করার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।