৪ হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে নওগাঁ পৌর আ.লীগের বর্ধিত সভা

নওগাঁ প্রতিনিধি:
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২১ ১৩:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৪ বার।

নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের প্রায় ৪ হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো বর্ধিত সভা। পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বুধবার সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন হাসপাতাল চত্তরে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নাজমুল হক মন্টু, পৌর কাউন্সিলর শেখ মোজাম্মেল হক মজনু,পৌরসভার ৯টি ওর্য়াডের ওর্য়াড কমিটির সভাপতি,সেক্রেটারী,আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।

গত ৩০ জানুয়ারী সদ্য অনুষ্ঠিত নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ও কাংখিত প্রার্থীর দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয় গুলো বর্ধিত সভায় গুরুত্ব পায়। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহম্মদ শিষাণ দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বক্তারা সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি সঠিক প্রার্থী বাছাই না করার কারনে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হয়েছে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী না হওয়ায় সভাপতি শিষাণকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী জানান, পৌর আওয়ামী লীগের ডাকা বর্ধিত সভা পৌর এলাকার নারী-পুরুষ সমন্বয়ে প্রায় ৪ হাজার নেতা-কর্মী এই বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন বর্ধিত সভা পরবর্তিতে জনসভায় রুপ নেয়।

পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমি ২০১৫ সালের নওগাঁ পৌর সভার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিলাম। ওই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও মাত্র আড়াই হাজার ভোটের ব্যবধানে আমাকে পরাজিত হতে হয়। এরপর গত ৫ বছর আমি পৌরবাসীর সুখে দুঃখে পাশে থেকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে এসেছি। বিশেষ করে করোনার সময় শহরের অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। ওই সমস্ত মানষদের সাধ্যমত সহায়তা প্রদান করেছি। একইসঙ্গে প্রতিটি ওর্যার্ডের নেতা-কর্মীদের সাথে নিবিড় সর্ম্পক বজায় রেখে দলকে আরো সুসংগঠিত করেছি। ষড়যন্ত্র করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের দাবির মুখেও আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়নি। এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি বলেন আমাকে একটি বার সুযোগ দিন। একটি বার পৌর মেয়রের দায়িত্ব দিন। আমি যদি মানুষের ভাল এবং সততার সাথে কোন উন্নয়ন কাজ করতে না পারি,তাহলে জীবনে আর কখনো আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসব না। তবে আপনাদের সহযোগিতায় আগেও যেমন ছিলাম,এখনও করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি অঙ্গিকার করেন।