জামিননামা জালিয়াতিঃ বগুড়ায় কাউন্সিলর আমিনুলসহ ৩০ জন কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২১ ১২:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৪৩ বার।

জালিয়াতি করে আগাম জামিননামা তৈরির ঘটনায় বগুড়া যুবলীগ নেতা ও সদ্য নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামসহ ৩০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আমিনুল ইসলামসহ ১৬জন আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে বুধবার একই ঘটনায় আরও ১৪ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।

বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আসমা মাহমুদ এই আদেশ দেন বলে জানান আসামী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নাফ। বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো আসামীরা হলেন, বগুড়া পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, আবদুল আলিম, আনোয়ার মন্ডল, মোহাম্মদ বাদল, সেলিম, কিবরিয়া, রাশেদুল, সাদ্দাম, মাহমুদ, রতন, সেলিম রেজা, রুহুল আমিন, জাহিদুর রহমান, নুর আলম মন্ডল, বিপুল ও সুমন প্রামানিক। বুধবারে কারাগারে পাঠানো ১৪ আসামীরা হলেন বগুড়া সদরের গোদারপাড়া এলাকার  লিটন প্রামানিক, মোহাম্মদ মানিক, মোহাম্মদ জাকির, মোহাম্মদ তানভির, মোহাম্মদ আবদুল গনি, রাসেল মন্ডল, আসাদুজ্জামান মনা, খোকন, শিপন, আল আমিন, দীপ্ত, মিরাজ, হেলাল ও রাব্বী। 
 

প্রসঙ্গত: বগুড়ায় মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৯ ফেব্রয়ারি দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রয়ারি পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটিতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম দীপন বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩০ জনের হাইকোর্টের জামিননামার ভুয়া নথি তৈরি করা হয়।
ভুয়া জামিননামার বিষয়টি গত ২৪ ফেব্রয়ারি ধরা পড়ার পরপরই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আসামিদের সাতদিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।

বগুড়া সদর থানার ওসিকে এই নির্দেশ দেয়া ছাড়াও বিষয়টি তদন্ত করতে বগুড়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমকেও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এরই এক পর্যায়ে আসামীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন।