করোনার ভ্যাকসিন ‘সীমিত সম্পদ’: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭১ বার।

চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন সীমিত সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখনো করোনার ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিশ্বের শতাধিক দেশ। তাদের সহায়তায় ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান। এদিকে, ফাইজারের টিকা দিয়ে ইসরাইল এখন হার্ড ইমিউনিটির পথে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ইউরোপ, পশ্চিমা বিশ্ব ও এশিয়ার বেশ কিছু দেশ করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করলেও এখনো এই ভ্যাকসিন সোনার হরিণ একশর বেশি দেশে। দেশগুলোর সরকার টিকার ব্যবস্থা করতে না পারায় করোনার সংক্রমণ ক্রমেই ব্যাপক আকার ধারণ করছে।

এ অবস্থায় দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তায় এগিয়ে আসতে ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ করে সংস্থার উদ্যোগে গঠিত ভ্যাকসিন সহযোগিতা প্রকল্প কোভ্যাক্সে অনুদান দিয়ে দরিদ্র দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সংস্থার প্রধান। একইসঙ্গে, ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু বণ্টনের ওপরও জোর দেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, শীর্ষ আয়ের বেশ কিছু দেশ টিকা নিতে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আগাম চুক্তি করছে। এতে করে কোভ্যাক্সের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোভ্যাক্সকে সময় মতো ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারছে না। অন্ততপক্ষে তহবিলে অর্থ দিলেও দরিদ্র দেশগুলোর মাঝে টিকা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হতো।

 

এদিকে ফাইজার ও বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যেই নতুন তথ্য দিলো ইসরাইল। ফাইজারের টিকা প্রয়োগের পর জনগণের বড় একটি অংশের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠেছে বলে দাবি করেছে দেশটি। টিকাদানের পর করোনার সংক্রমণ কমায় ইসরাইল হার্ড ইমিউনিটির পথে হাঁটছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।